ইসলামকে ধুয়ে ফেলাই তাদের উদ্দেশ্য।

পৃথিবীর একমাত্র শান্তির ধর্ম হলো ইসলাম এটা নিযে নতুন করে বলার কিছু নেই যা ভিন্ন ধর্মালম্বীদেরও মানতে কোন বাধা নেই। প্রশ্ন আসতে পারে তাহলে ইসলামের নামে যে বোমাবাজী, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ এগুলো কি? উত্তর সহজ। (১) ইসলাম কোন ধরণের বোমাবাজী, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস ইত্যাদিকে কখনও সমর্থন করেনা। সুতারাং যারা এগুলো করছে
তাদেরকে আমরা এক কথায় সন্ত্রাসী বলে স্বীকৃতি দিতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। আর সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম হতে পারেনা তারা সব ধর্মেই রয়েছে। (দুেই) এগুলো যে মুসলমানরাই করছে তার প্রমাণ আপনি কোথা থেকে দেবেন? অন্তত পশ্চিমাদের চল-চাতুরী বা ভন্ডামী সম্পর্কে যাদের নুন্যতম ধারণা আছে তারা অবশ্যই সরাসরী কোন বোধ বিবেচনা ছাড়া মুসলিমদের দোষারোপ করেন না। সেদিন নিউজ পেপার মাধ্যম জানতে পারলাম মুসলিম নামধারী একজন লম্পট কর্তৃক এক হিন্দু মেয়ের ধর্ষনের খবর যা সত্যিই হতাশা জনক। কিন্তু তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে তথাকথিত সুশীলদের স্ট্যাটাস তাদের বক্তব্য দেখে মনে হইছে তারা ঐ যুবকের বিষদাগার নয় বরং ইসলামকেই ধুয়ে ফেলার ষড়যন্ত্রেই মেতে উঠছেন। প্রশ্ন কেন আপনারা এভাবে সরাসরি ইসলামকে দোষারোপ করছেন? একটি কুলাঙ্গার যুবক ধর্ষণ করলো এর জন্য ইসলামকে কেন দায়ী করবেন? হিটলার লক্ষ লক্ষ ইহুদি হত্যা করছিল বা মুসলিন হত্যা করছিল হাজার হাজার মানুষ। তারা খৃষ্টান ধর্মালম্বী বলেতো কখনও আপনাদেরকে তাদের ধর্মকে দোষারোপ করতে শুনিনি । অথবা পরিমল,অরূপ চৌধুরী,তারকচন্দ মন্ডলদের দ্বারাতো অহরহ ধর্ষনের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। কৈ তাদের ধর্ম হিন্দুকেতো কখনও ধুয়ে দিতে শুনিনি আপনাদের মুখে। তাহলে কেন ইসলামকে নিয়ে এইভাবে আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছেন? বুঝাই যাচ্ছে ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। মানুষ অন্যায় করবে, মানুষ সন্ত্রাস করবে, মানুষ বোমাবাজী বা ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটাবে তার জন্যতো ধর্মকে দোষারোপ করতে পারেন না। তাদের অন্যায় কর্মকান্ড তাদের কাছে। অযথা কেন ধর্মকে এর সাথে গুলিয়ে ফেলছেন। তাই সব সময় আশা রাখি যেন সুশীলদের সুভ-বুদ্ধির উদয় হয়।