55

Search This Blog

Sunday 23 June 2013

নিজেই করুন ড্রাইভ পার্টিশন, এবং ড্রাইভের সাইজ বাড়ান ও কমান কোন প্রকার ডাটা না হারিয়ে। (মেগা টিউন)

আবারও চলে এলাম আপনাদের কাছে। আশা করি ভাল আছেন, সবসময় ভাল থাকুন এই কামনা নিয়ে আজকের টিউনটি শুরু করলাম,
ভুল হলে ক্ষমা সুন্ধর দৃষ্টিতে দেখবেন। এই নিয়ে পোস্ট আগে হইছে কি না আমি জানিনা! যদি হয়েও থাকে তারপরও আমার মনে হয়
এত বিস্তারিত কেও লিখেননি। যাক! তারপরও আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি
। শিরোনাম দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে কি নিয়ে টিউনটি হতে
যাচ্ছে। ড্রাইভ পার্টিশন নতুন কিছু নয়, কিন্তু অনেকের কাছে এটা স্বপ্ন নিজে নিজে ড্রাইভ পার্টিশন করা বা ড্রাইভ সাইজ বাড়ান কমানো।
আবার অনেকের জানা থাকলেও কিন্তু ডাটা সেফ রেখে পার্টিশন করা সম্ভব হয় না। তাই আমি দেখাবো কিভাবে ড্রাইভ পার্টিশন করবেন
এবং কিভাবে নির্দিষ্ট কোন ড্রাইভ এর সাইজ বাড়াবেন কমাবেন। প্রথমে দেখাবো কিভাবে সাইজ কমাবেন বাড়াবেন এবং দ্বিতীয়তে দেখাবো
কিভাবে ড্রাইভ পার্টিশন করবেন।
(১) প্রথমে আপনি এই সফটওয়ারটি এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন, তারপর ইন্সটল করুন আট দশটা সফটওয়ারের মতই।
তারপর ডেক্সটপ আইকনে ডাবল ক্লিক করে সফটওয়ারটি ওপেন করুন, নিচের মত দেখবেন…………………

দেখুন আপনার সবগুলো ড্রাইভ দেখাচ্ছে, এখন আপনি আপনার চাহিদা মাফিক স্পেস unallocated করে নিন (মানে যে ড্রাইভ থেকে স্পেস কমিয়ে অন্য
ড্রাইভ বাড়াবেন) তার জন্য আপনি যে ড্রাইভ থেকে স্পেস unallocated করতে চান সে ড্রাইভের উপর রাইট ক্লিক করে move/resize এ ক্লিক করুন।
নিচের মত দেখবেন……………………………………

এখন আপনি partition size নামের যে বক্সটি অর্থাৎ সবুজ রঙ দিয়ে চিহ্নিত বক্সে নিচের এরও চিহ্নতে মাউস দিয়ে ক্লিক করতে থাকুন
আর দেখুন বেগুনী রঙ দিয়ে চিহ্নিত বক্সে unallocated space দেখাচ্ছে। (উল্লেখ্য! এখানে unallocated space টা MB হিসেবে দেখাচ্ছে,
আপনাকে মনে রাখতে হবে ১০২৪ MB তে ১ GB হয়) আপনার চাহিদা মাফিক unallocated space হয়ে গেলে ok করুন, নিচের মত দেখবেন………

এখানে আপনি বেগুনী রঙ দিয়ে চিহ্নিত যা দেখতেছেন তাহাই হল unallocated space, মানে হল আপনি unallocated কমপ্লিট করছেন।
এবার হল এড করার পালা মানে এই unallocated space কে যে ড্রাইভের সাথে এড করবেন। এর জন্য আপনি যে ড্রাইভের স্পেস বাড়াতে
চান তার উপর রাইট ক্লিক করে extend এ ক্লিক করুন, নিচের মত……………………………………………

extend এ ক্লিক করলে নিচের মত দেখবেন………………………………………………………

এখন আপনি সবুজ রঙ দিয়ে চিহ্নিত এরও তে ক্লিক করে unallocated space টি সিলেক্ট করে দিন, তারপর বেগুনী রঙ দিয়ে চিহ্নিত মধ্যখানে
যে ছোট বারটি দেখা যাচ্ছে তাকে মাউস দিয়ে একদম ডান পাশে অর্থাৎ maximum size এ নিয়ে ছেড়ে দিন এবং ok করুন।
তারপর উপরে বাম কোনায় apply বাটনে ক্লিক করুন, একটি বক্স আসবে, আপনি yes বাটনে ক্লিক করুন। নিচের মত………………………………

yes এ ক্লিক করার পরে নিচের মত দেখবেন……………………………………

তার মানে হল আপনার কাজটি সম্পন্ন হতে যাচ্ছে এবং একটু পর দেখবেন successful মেসেজ দেখাচ্ছে। অথবা দেখবেন কম্পিউটার রিস্টার্ট চাচ্ছে
তখন আপনি রিস্টার্ট দিয়ে দিন। কম্পিউটার ওপেন হতে একটু সময় নিবে, ভয় পাবেননা, প্রসেসিং কমপ্লিট হয়ে অটোমেটিক ওপেন হয়ে যাবে। ব্যাস
আপনার কাঙ্খিত ড্রাইভের সাইজ বেড়ে গেল।
…………………………………………………………………………………………………………………………………………………………………
(২) এবার দেখুন কিভাবে ড্রাইভ পার্টিশন করবেন, এখন নতুন করে আর ঝামেলা নাই। সব আগের মতই মানে আপনি যতটুকু স্পেস নিয়ে
নতুন ড্রাইভ বানাতে চান তওতটুকু আগের মত unallocated করে নিন, তারপর ওই unallocated স্পেসের উপর রাইট ক্লিক করে create
ক্লিক করুন, নিচের মত দেখতে পাবেন…………………………………………………

এখন আপনি partition label এ আপনি নতুন ড্রাইভটি যে নামে করতে চান তা লিখে ok করুন, বাকী অপশন গুলো চেঞ্জ না করলেও চলবে।
তারপর আগের মতই উপরে বাম কোনায় apply বাটনে ক্লিক করার পর যে বক্সটি আসবে ওটাতে yes এ ক্লিক করুন। ব্যাস এবার আপনাকে
আপনার ড্রাইভ তৈরি হয়ে গেছে বলে successful মেসেজ দেখাবে অথবা কম্পিউটার রিস্টার্ট চাইবে তখন রিস্টার্ট দিয়ে দিবেন, এবং কম্পিউটার
ওপেন হওয়ার পর মাই কম্পিউটারে ডুকে দেখুন নতুন একটি ড্রাইভ তৈরি হয়ে গেছে।
তাহলে আজকের মত বিদায়, সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।

লেখাটি আপনার বন্ধুদের সাথে সেয়ার করুন

No comments:

Post a Comment

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...
Flying Twitter Bird Widget By bdtechzone.com